বিশ্ব ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারী শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, এমপি। স্থানীয় সময় ২৮ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসি-তে অবস্থিত বিশ্বব্যাংকের সদর দফতরে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওয়াশিংটনে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে।
বিশ্বব্যাংকেরব্যবস্থাপনা পরিচালক (অপারেশন) এক্সেল ভ্যান ট্রটসেনবার্গ সহ জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিরেন। বাংলাদেশের পক্ষে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সরকারি প্রতিনিধিদলের সদস্য অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব আব্দুর রউফ তালুকদার, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ-এর নির্বাহী চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম, বাণিজ্য সচিব, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব ও সিকিউরিটিজ এন্ড একচেঞ্জ কমিশনের চেয়ারম্যান।
বিশ্ব ব্যাংকের পক্ষ থেকে এ বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন আইএফসি’র দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট জন গ্যানডালফো, বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভারপ্রাপ্ত ভাইস প্রেসিডেন্ট মি. ইলাংগো পাচুমাথো, পরিচালক জুবিদা আলাওয়া, আইএফসি’র বাংলাদেশ কান্ট্রি ডিরেক্টর ওয়েন্ডি ওয়ার্নার ও বিশ্বব্যাংকে বাংলাদেশের বিকল্প নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ শফিউল আলম। বৈঠকে বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক অগ্রগতি ও এতে বিশ্বব্যাংক গ্রুপের সম্ভাব্য সহযোগিতার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে আলোচিত হয়।
বিশ্ব ব্যাংকের এমডি এক্সেল ভ্যান ট্রটসেনবার্গ-এর সাথে বৈঠকে সালমান এফ রহমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অভুতপূর্ব উন্নয়নের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে উল্লেখ করেন যে, বাংলাদেশের অর্থনীতি একটি শক্তিশালী ও সুদৃঢ় ভিত্তির উপর দাঁড়িয়েছে। তিনি আরও উল্লেখ করে বলেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সাফল্য বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় বিভিন্ন সংস্থা ও থিংকট্যাংক-এর স্বীকৃতিও পেয়েছে। বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা বলেন, বিশ্বজুড়ে কোভিড মহামারি সত্ত্বেও বাংলাদেশের ৫.২৪% জিডিপি প্রবৃদ্ধির বিষয়টি সর্বমহলে প্রশংসিত হয়েছে। এতে বাংলাদেশের ম্যাক্রো-ইকোনমিক সক্ষমতা ও স্থায়ীত্বের বিষয়টি প্রমানিত হয়েছে।
এ সময় বিশ্বব্যাংকের এমডিও তাঁর এই বক্তব্যে সমর্থন দেন। উপদেষ্টা সালমান রহমান বাংলাদেশের উন্নয়নে বিশ্বব্যাংকের ক্রমাগত সহায়তা প্রদানের বিষয়টি স্মরণ করে সংস্থাটিকে ধন্যাবদ জানান এবং জরুরী ভিত্তিতে কোভিড-১৯ টিকা ক্রয়ে বিশ্বব্যাংক কর্তৃক প্রদত্ত ঋণ দ্রুত ছাড়করণে পদ্ধতিগত বিভিন্ন অন্তরায়সমূহ দ্বিপাক্ষিক আলোচনা ও ঘনিষ্ট যোগাযোগের মাধ্যমে কমিয়ে আনার উপর গুরত্বারোপ করেন। ট্রটসেনবার্গ এ বিষয়ে একমত পোষণ করে বাংলাদেশের বিস্ময়কর উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেন। একইসাথে বালাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রায় সংস্থাটির সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে মর্মেও আশ্বাস প্রদান করেন।
বেসরকারি বিনিয়োগ উপদেষ্টার নেতৃত্বে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল আইএফসি-এর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভারপ্রাপ্ত ভাইস প্রেসিডেন্ট-এর সাথে পৃথক বৈঠকে মিলিত হন। উভয় পক্ষ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ খাতে সহযোগিতা জোরদার করতে ঐকমত্য প্রকাশ করে। এসবের মধ্যে রয়েছে ব্যবসা সহজীকরণ সম্পর্কিত সংস্কারসহ বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং সার্বিক দক্ষতা ও মানব সম্পদ উন্নয়ন।












